তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বুক রিভিউ- "Tumake valobashi he nobi" book review

তোমাকে ভালোবাসি হে নবী

বিধর্মী একজন মানুষ কিভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম)কে এতোটা ভালোবাসতে পারে? বইটি পড়ে অবাক হতে হয়। বইটির শব্দচয়নে  হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বইটির নাম" তোমাকে ভালোবাসি হে নবী"। 

মূল বইটি লিখেছেন " গুরুদত্ত সিং"।

তিনি একজন আইনজীবী ; বার এড ল; ( লাহোর হাইকোর্টের এডভোকেট ) 

অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ।  বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন।  এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।    "আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না।   উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,    "নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন -  "বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা।     হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না।   নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে।


বিধর্মী একজন মানুষ কিভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম)কে এতোটা ভালোবাসতে পারে? বইটি পড়ে অবাক হতে হয়। বইটির শব্দচয়নে  হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বইটির নাম" তোমাকে ভালোবাসি হে নবী"।  মূল বইটি লিখেছেন " গুরুদত্ত সিং"। তিনি একজন আইনজীবী ; বার এড ল; ( লাহোর হাইকোর্টের এডভোকেট )   অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ। বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।  "আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না।  উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,  "নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন - "বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা।   হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না।  নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে।        

বিধর্মী একজন মানুষ কিভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম)কে এতোটা ভালোবাসতে পারে? বইটি পড়ে অবাক হতে হয়। বইটির শব্দচয়নে  হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বইটির নাম" তোমাকে ভালোবাসি হে নবী"।  মূল বইটি লিখেছেন " গুরুদত্ত সিং"। তিনি একজন আইনজীবী ; বার এড ল; ( লাহোর হাইকোর্টের এডভোকেট )   অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ। বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।  "আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না।  উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,  "নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন - "বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা।   হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না।  নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে। book review |তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বুক রিভিও,tumake valobasi he nobi book review.        lokayotobangla

বিধর্মী একজন মানুষ কিভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম)কে এতোটা ভালোবাসতে পারে? বইটি পড়ে অবাক হতে হয়। বইটির শব্দচয়নে  হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বইটির নাম" তোমাকে ভালোবাসি হে নবী"।  মূল বইটি লিখেছেন " গুরুদত্ত সিং"। তিনি একজন আইনজীবী ; বার এড ল; ( লাহোর হাইকোর্টের এডভোকেট )   অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ। বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।  "আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না।  উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,  "নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন - "বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা।   হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না।  নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে। book review |তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বুক রিভিও,tumake valobasi he nobi book review.        lokayotobangla

বিধর্মী একজন মানুষ কিভাবে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম)কে এতোটা ভালোবাসতে পারে? বইটি পড়ে অবাক হতে হয়। বইটির শব্দচয়নে  হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বইটির নাম" তোমাকে ভালোবাসি হে নবী"।  মূল বইটি লিখেছেন " গুরুদত্ত সিং"। তিনি একজন আইনজীবী ; বার এড ল; ( লাহোর হাইকোর্টের এডভোকেট )   অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ। বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।  "আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না।  উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,  "নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন - "বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা।   হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না।  নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে। book review |তোমাকে ভালোবাসি হে নবী বুক রিভিও,tumake valobasi he nobi book review.        lokayotobangla


অনুবাদ করেছেন মাওলানক আবু তাহের মিজবাহ।

বইটিতে রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর আগমনের পুর্ব  থেকে রওযা শরীফে যাওয়া অবধি ধারাবাহিকভাবে খুবই চমৎকার ভাষায় দুঃখ কষ্ট,চড়াই-উতরাই, নেতৃত্ব  মানবিকতা সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন।

এখন আসা যাক বইয়ের লেখায়।


"আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে আব্দুল্লাহকে বিয়ে করালেন আমিনার সাথে। মা আমিনার গর্ভে সন্তান এলো। কিছুদিন পরে আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আব্দুল মুত্তালিব অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর দাদার মন ভেঙ্গে যায়। সন্তান হারা পিতার কষ্টের কোনো উপমা হয়তো দেওয়া যায়না। 

উক্ত বইয়ে আব্দুল মুত্তালিবের মনের অবস্থা কিছুটা এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,


"নির্জন মরুভূমিতে আব্দুল মুত্তালিব যখন রাতের তারাভরা  আসমান্ব ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন তখন হয়তো তিনি আসমানে যিনি আছেন নিরব ভাষায় তাঁকে বলতেন -

"বুড়ো বাবার কলজেপোড়া গন্ধ কি তোমার এতই ভালো লাগে হে জাগত-নিয়ন্তা! নইলে তরতাজা পুত্রকে আমার কেন ছিনিয়ে নিলে এমন বয়সে, এমনভাবে! তার আগে যদি আমাকে তুলে নিতে তাহলে তো পুত্রশোকের এ নরকযন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হতো না। আর তো পারি না প্রভু! এবার সাঙ্গ কারণে তোমার এ কৌতুক-লীলা, নিভিয়ে দাও আমার জীবন প্রদীপের চিরন্তন এ নিভু নিভু শিখা। 


হয়তো তাঁর অনুযোগ ছিলো আরো করুণ, আরো মর্মস্পর্শী, যা প্রকাশ করার ' যথাশব্দ" মানুষের ভাষায় আজো তৈরি হয়নি।  তাই শুধু প্রার্থনা করি, হে বিধাতা! এমন পুত্রশোক কোন কালে, কোনো দেশে, কোনো মানুষকে আর দিও না। 

নবীজির আচার ব্যবহার কত সুন্দর ছিলো, তিনি কতটা মানবিক ছিলেন, তিনি কতটা সত্যবাদী ছিলেন সবই উল্লেখিত হয়েছে এই বইয়ে। 


আরও পড়ুন....

জীবনের উত্থান পত্তন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url