আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ
কিন্তু ১৮ জানুয়ারি জেল গেটের বাইরে পা রাখার সাথে সাথেই তাঁকে
পাকিস্তান আর্মি নেভী এবং এয়ারফোর্স এক্ট- এ গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় কারাগার
থেকে কুর্মিটোলা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৮ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর
সরকারি প্রেসনোটে বলা হয় যে,
· "শেখ মুজিবসহ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি
হাইকমিশনারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলো এবং পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার
উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা ভারতের
আগরতলায় গোপন বৈঠকে বসে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার
ষড়যন্ত্র করেছিল । "
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে মোট ৩৫ ব্যক্তির
বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তৈরি করা হয়।
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জনাব
এম. এ রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ
ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক (অর্ডিন্যান্স নং ৫-১৯৬৮) এ ট্রাইব্যুনালের
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না।
১৯৬৮ সালের ১৯ জন কুর্মিটোলা সেনানিবাসে কড়া প্রহরায় রাষ্ট্র বনাম
শেখ মুজিবুর ও অন্যদের মামলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু কে ফাঁসি দেওয়াই ছিল মামলার
উদ্দেশ্য।